এই অভিযোগ খারিজ করেছেন বাদশা। পুলিশের দাবি পাগল হ্যায় গানের জন্য ৭২ লক্ষ টাকায় ইউটিউবে ৭.২ কোটি ভিউ কিনেছেন বাদশা।
বড়সড় পর্দা ফাঁস করল মুম্বই পুলিশ। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী ইউটিউবে গানের ভিউ সংখ্যা বাড়াতে কারচুপি করেছেন ব়্যাপার বাদশা। একথা কারুরই অজানা নয় বাদশার 'পাগল হ্যায়' গানটি একদিনে ৭৫ মিলিয়ন ভিউজ পেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দিয়েছিল। ২৪ ঘন্টায় গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভিউ হওয়া ইউটিউব ভিডিয়ো 'পাগল হ্যায়'। এবার মুম্বই পুলিশ বলল এই গানের ভুয়ো ভিউ সংখ্যা কিনতে ৭২ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন বাদশা। এই টাকায় ৭.২ কোটি ভিউ কেনবার কথা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন বাদশা।
নন্দকুমার ঠাকুর, মুম্বই পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মুম্বই মিররকে জানান, ‘গায়ক মেনে নিয়েছেন তিনি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করতে চেয়েছিলেন। ২৪ ঘন্টায় ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি ভিউ পেতে ৭২ লক্ষ টাকা এই কোম্পানিকে দিয়েছেন তিনি’।'পাগল হ্যায়'র পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাদশার অন্য গানগুলিও স্ক্রুটিনি করছে মুম্বই পুলিশ,যোগ করেন তিনি।
যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বাদশা। 'সমন মেনে আমি মুম্বই পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি মুম্বই পুলিশকে তাঁদের তদন্তে সহযোগিতাও করেছি, আমার তরফে যা কিছু করা সম্ভবপর। আমার উপর উঠা সমস্ত অভিযোগ আমি খারিজ করেছি,আমি পরিষ্কার জানিয়েছি এই ধরণের কোনওরকম প্রথার(ফেক ভিউ বা ফলোয়ার্স কেনা) সঙ্গে আমি জড়িত নয় এবং আমি সেগুলির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন এই পঞ্জাবি ব়্যাপার।
বলিউড গায়িকা ভূমি ত্রিবেদীর দায়ের করা একটি অভিযোগের তদন্তের সূত্র ধরে একটি বিরাট চক্রের কথা জানতে পারে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূমির নামে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে কেউ বলিউডের অন্য শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল, অভিযোগ জানান ভূমি। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিশ জানতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ায় টাকার বিনিময়ে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ানো, লাইক বাড়ানো কিংবা ফেক ভিউজ দেওয়ার কাজ করে একটি ব়্যাকেট। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোনের মতো বলিউড তারকাদেরও।
শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাদশার পাগল হ্যায় গানটি। এই গান ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মুক্তি পায়। সেইসময় চব্বিশ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া দাবি বাদশার তরফে করা হলেও অ্যালফাবেট (গুগুল ও ইউটিউবের মূল কর্তৃপক্ষ)।কোরিয়ান বয় ব্যান্ড বিটিএসের রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভিউ পাওয়ার দাবি নাকচ করে দেয় স্বয়ং ইউটিউব। তখনই মনে করা হয়েছিল, পেইড ভিউজের কারণেই এমনটা ঘটেছে। তবে ফেক ভিউজের কথা সামনে আসবার পরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
0 মন্তব্যসমূহ