(ছবি - গুগল)
সকালে কেউ দিন শুরু করেন গরম চা বা কফিতে, কেউ বা আবার জিম ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আবার সকালের হাঁটার জন্য অনেকেই অ্যালার্ম সেট করে নেন। কিন্তু আপনার বিছানা আর আপনার মধ্যে যে প্রেম ভালোবাসা আর আদরের সম্পর্ক, সেটা কমপ্রোমাইজড হয় তো! মুশকিল আসান হতে পারে আপনার আর পার্টনারের একটু সদিচ্ছায়। সকাল সকাল জিম, হাঁটা এসবে ব্যস্তও হতে হবে না, আবার আপনার ক্যালোরিও কমবে চটপট। উপায়! যৌনমিলন বা সেক্স।
চোখ কপালে না তুলে, কিছু জিনিস মেনে চললে আপনার সারাটা দিন বেশ ফুরফুরে কাটতে পারে। এতে মন এবং হরমোন দুইই থাকবে তরতাজা।
চোখ কপালে না তুলে, কিছু জিনিস মেনে চললে আপনার সারাটা দিন বেশ ফুরফুরে কাটতে পারে। এতে মন এবং হরমোন দুইই থাকবে তরতাজা।
সকাল সকাল শারীরিক মিলনের উত্তেজনায় আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে বেশি, সঙ্গে সেগুলো সারা শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। ফলে আপনার আগের দিন বৃষ্টিতে ভিজে নাক ফ্যাঁচফ্যাঁচ বা খুক খুক কাশি সহজেই আপনাকে টা টা বলে দেবে। কারণ আপনার অর্গাজ়মের সময়ে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলো ঠাণ্ডার জার্মকে তাড়িয়ে দেবে অনায়াসেই। বিশিষ্ট সাইকোথেরাপিস্ট ডাঃ ভিয়ান সানিয়াল এ বিষয়ে বলছেন, সকালের যৌনতা একটি ‘প্লাস প্লাস স্ট্যাটাস’, এসময় হরমোনগুলি তার চরম অবস্থায়, আনকোরা থাকে এবং আপনার সঙ্গীর সঠিক পদক্ষেপে আপনার সন্তুষ্টি বাড়তে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে সকালে আগের দিনের স্ট্রেসগুলো কার্যত একটানে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যায় শুধুমাত্র সেক্সের মাধ্যমেই।
চরম উত্তেজনায় অক্সিটোসিন হরমোন বেশি পরিমাণে বেরিয়ে আসে। এটি একটি শক্তিশালী হরমোন যা কোরিটোসোল সংশ্লেষণের জন্য পরিচিত, যা উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কাছে ঘেঁষতে দেয় না। দৈনিক চাপ থেকে দূরে রাখে আপনাকে। কর্টিসোল হরমোনগুলির গ্লুকোকার্টিকোড জাতীয় স্টেরয়েড হরমোন। ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হলে, এটি হাইড্রোকার্টিসন নামে পরিচিত। এটি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির মধ্যে অ্যাড্রিনাল কর্টেক্সএ তৈরি হয়। দিনের শুরুটা এত এনার্জেটিক হলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার সারাটা দিন ভালো কাটবে।
অফিস বাড়ি সামলে রাতে যখন আয়নার সামনে দাঁড়ান, মনে হয় দেখে ,ইস কী বুড়োটে লাগছে দেখতে! আর তাই সকালে চুল এবং স্কিনের যত্ন নিতে কসমেটিক্স আর মুঠো মুঠো ওষুধ খান? এসব আর লাগবে না। সঙ্গীকে নিয়ে আরও কিছুক্ষণ বিছানাতেই থাকুন। এতে আপনার পোস্ট কয়টাল গ্লো বাড়বে। আর স্কিনের গ্লো বাড়াতে কসমেটিক্সে ভরসা করতে হবে না। কারণ সব কাজ আপনার ফিলগুড হরমোনই দায়িত্ব নিয়ে করে দেবে।
বাড়ি ফেরার তাড়া থাকবে যদি সঙ্গী অপেক্ষায় থাকেন। আপনি সারাদিনই এই সময়টার অপেক্ষাতেই থাকেন হয় তো। তাহলে এই ইঁদুর দৌড়ের যুগে যখন আপনারা হয় তো কথা বলার সময়ই পান না, আপনার সম্পর্কটাও বাঁচিয়ে নিতে পারবেন। যত বেশি কথাবার্তা হবে সঙ্গীর সাথে, তত ভালো সময় কাটবে আপনাদের। একসাথে ডিনার করবেন, একসাথে সময় কাটাবেন। আর অক্সিটোসিনের পরিমাণ বাড়বে দুরন্ত গতিতে। কারণ আপনি তখন শরীরে শরীরে ছবি আঁকতে ব্যস্ত। রিলেশনশিপ কাউন্সেলর সুমিত মেহেতাও বলছেন, এই অভ্যাস আপনার সম্পর্কে একটা ডায়নামিক চেঞ্জ আনতে সাহায্য করবে।
0 মন্তব্যসমূহ