( ছবি - গুগল )

বিজ্ঞানীরা দেখলেন, সাঁতার তো দূরে থাক শুক্রাণুরা ওই ভাবে দু’পাশে লেজ নাড়াতেই পারে না। তাহলে ডিম্বানু অবধি পৌঁছতে এতটা পথ পাড়ি দেয় কীভাবে? সেটাই হল নতুন চমক।


 বড্ড ঠকিয়েছে বিজ্ঞানীদের। প্রায় ৩৪২ বছর ধরে বোকা বানিয়েছে পুংজনন কোষ শুক্রাণু বা স্পার্ম।এতদিন বিজ্ঞানীরা মনেপ্রাণে বিশ্বেস করতেন শুক্রাণুরা বুঝি পাকা সাঁতারু। লম্বা লেজ দুলিয়ে দু’পাশে নাড়াচাড়া করতে করতে ঠিক মাছের মতো সাঁতরে ডিম্বানুর দিকে এগিয়ে যায়। কোটি কোটি শুক্রাণু সাঁতরেই ধেয়ে যায় ডিম্বানুর দিকে। যার গতি বেশি এবং যাকে ডিম্বানুর মনে ধরে, সেই প্রতিযোগিতায় জিতে যায়। বার্তা পাঠিয়ে সেই অভিজ্ঞ সাঁতারু শুক্রাণুকে কাছে ডেকে নেয় ডিম্বানু। এটা ছিল পাকাপোক্ত বিশ্বাস। তবে এই বিশ্বাসে ফাটল ধরল দিনকয়েক আগে। ভিরমি খেয়ে বিজ্ঞানীরা দেখলেন, সাঁতার তো দূরে থাক শুক্রাণুরা ওই ভাবে দু’পাশে লেজ নাড়াতেই পারে না। তাহলে ডিম্বানু অবধি পৌঁছতে এতটা পথ পাড়ি দেয় কীভাবে? সেটাই হল নতুন চমক।


শুক্রাণুরা সাঁতরাতে পারে কিনা সেটা জানতে হলে আগে এই সাঁতার-তত্ত্বের কথা জানতে হবে। তারপরে আসা যাবে নতুন তত্ত্বে।